গত ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার আমেরিকান অনলাইন নিউজ পোর্টাল সুপ্রভাত মিশিগানে ‘সুুফল বঞ্চিত প্রান্তিক কৃষক : লাখাইয়ে ভর্তুকির কৃষিযন্ত্র দিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সরকার ৭০% ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়ার আমি উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে আবেদন করি এবং ভর্তুকি মূল্যের অংশ বাদে ঋণ করে প্রায় লক্ষাধিক টাকায় পাওয়ার টিলার সিডার ক্রয় করি। লাখাই হাওরাঞ্চল এলাকা হওয়ায় আমার আশেপাশে দীর্ঘসময় বর্ষার পানি থাকে তাই উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শাকিল খন্দকারকে অবগত করেই অন্য জায়গায় ভাড়ায় ব্যবহার করি। আমি যখন ক্রয় করি উপজেলায় কর্মরত জ্যোতিলাল গোপ চুক্তি করার সময় বলেন নাই যে আমি যন্ত্র ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করতে পারবো না। তারপর ই-মেইলে উপজেলা অফিসারের বরাবর দরখাস্ত দিয়ে অনুমতিও নিয়ে অন্য স্থানে নিয়েছি । উপ সহকারী কৃষি অফিসার অমিত ভট্টাচার্য্য দুই দিন বাড়ীতে গিয়ে যন্ত্র আনার কথা বলছেন তখনও বর্ষার পানি।আমার যন্ত্র আমার অধীনেই আছে।
একটি স্বার্থপর কুচক্রী মহলের লোকজনের কাছে আমার উন্নতি সহ্য হয়না বিধায় তারা আমার পাওয়ার টিলার সিডার বিক্রি করেছি বলে এলাকায় প্রচার করছে। উপজেলা কৃষি অফিস আমার কৃষক গ্রুপেও আমাকে সরিষা ও ধান প্রদর্শনীর সার দিয়েছে। সরকারি সার সময়মতো না পাওয়ায় আমি বিভিন্ন সার কিনে জমিতে দিয়েছি। আমার সাথে অন্য কৃষকরা ও কৃষি প্রনোদনার আওতায় চেয়ারম্যান মেম্বারের মাধ্যমে বীজ ও সার পেয়েছে তাদের সারও আমার সারের বস্তা একত্রে ছিল। সরকারীভাবে কোন টিএসসি সার দেয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সরকারী সার ও আমার খরিদা সার জমিতে ব্যবহারের পর কিছু বাড়তি সার ছিলো তা কি নষ্ট করা উচিত ছিলো, নাকি আপনার প্রতিনিধি সানি চন্দ্র বিশ্বাসকে দিয়ে দিলে ভালো হতো? তাহলে অন্তত পত্রিকার শিরোনাম হতাম না। আমি নিজেও সংবাদপত্রে কাজ করি তারপরও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি বিভিন্ন সময় আমার নিকট বিভিন্ন ভাবে অর্থ দাবী করে আসছিল। আমি তার দাবী মিটাতে না পারায় কৃষি দপ্তরের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষক উন্নয়ন প্রকল্পের আমাদের গ্রুপের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা অবস্থায় সানি চন্দ্র বিশ্বাস বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও গ্রুপ নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে কৃষকদের বঞ্চিত করার চেষ্টা করতে থাকে। সভাপতি হিসেবে আমি তাকে মিটিং আহ্বান করতে বললে করেনা। আমি অন্যান্য সদস্যদের মতামতে হরেন্দ্র পালকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক করে গ্রুপের কাজ পরিচালনা করি। কোন মিটিং ডাকলেও সে আসেনা বরং অন্য সদস্যদের কাছে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গ্রপিংয়ের চেষ্টা করতে থাকে ফলে বঞ্চিত হয় কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসার নিজেও সাংবাদিক মনির সহ তাকে ডাকেন এবং আমাদের নিজেদের দ্বন্ধ নিরসনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তার অনিয়ম ও বিশৃংখলা সৃষ্টির দায়ে সকল সদস্যরা তাকে বহিষ্কার করেছে। আমার প্রতি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশে ও নিজের স্বার্থে এবং আমার বিরোধী পক্ষের কিছু লোকজনের সাক্ষাৎকার নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে। ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মানহানিকর ভাষা ব্যবহার করে ফেসবুকে ও পত্রিকায় প্রকাশ করে। সামাজিক ভাবে আমার ও একজন কর্মকর্তার মানসম্মান নষ্ট করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে সে কৃষি বিভাগের তথা সরকারের কৃষি উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাঘাত করে কৃষকদের বঞ্চিত করেছে। আমি তার এ ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে বিরত থাকতে অনুরোধ করছি।
আশীষ দাশগুপ্ত
স্বজন গ্রাম, লাখাই, হবিগঞ্জ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan